রেল ও সড়ক পথে চলাচলে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলেও নৌ পথে দেখা গেছে গা-ছাড়া ভাব। টার্মিনালগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার কিছুটা তোড়জোড় কিছুটা থাকলেও লঞ্চগুলোতে যাত্রী ছিল আগের মতোই। এদিকে, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় পর লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় কমেছে। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা আতঙ্কে যাত্রী চাপ কম।
সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলো চলাচল শুরু করেছে। রাজধানীর সদরঘাট বিভিন্ন গন্তেব্যে ছেড়ে গেছে লঞ্চ। একইভাব চাঁদপুর, ভোলা, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন ছোট ছোট রুটেও লঞ্চ চলছে। সদরঘাটের মতো বড় বড় টার্মিনালগুলোতে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার নিয়ে উদাসীনতা দেখা গেছে। মালিকপক্ষও খুব একটা মনোযোগ দিচ্ছেন না এদিকে। অনেকে মাস্ক পড়লেও শারীরিক দূরত্ব মানার বিষয়ে আছে গা-ছাড়া ভাব।
বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীদের ভিড় আছে। লঞ্চে প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক রাখা হলেও শারীরিক দূরত্বের বালাই ছিল না কোনো লঞ্চেই।
কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই দিনের তুলনায় ঘাটে যাত্রী চাপ কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌ-পথে লঞ্চ ও স্পিডবোটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় কিছুটা বেড়েছে। রয়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের জটলা। কোথাও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। একসঙ্গে গাদাগাদি করে চলাচল করায় করোনা ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার লঞ্চ ও স্পিডবোট মালিকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও নিরাপত্তা সামগ্রী রাখার আহবান জানানো হলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না।
বিআইডব্লিউটিএ কাঁঠালবাড়ি ঘাট কতৃপক্ষ জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৮৭টি লঞ্চ ও আড়াই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এখন নৌ-যান চালু হওয়ায় সবােইকে নিরাপদ রাখতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিন্তু সবাই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও জানায় কতৃপক্ষ।
Leave a reply