শুধুই প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণজনিত কাজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আড়াই মাস ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস খোলার রাখার অনুমতি দিয়ে সোমবার (১ জুন) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং সীমিত আকারে সরকারি দফতরগুলো খোলা রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস শুধুমাত্র প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে (যথা: ছাত্রভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ইত্যাদি) সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। তবে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, সন্তানসম্ভবা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ/স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারি করা সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ হতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। আর গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই খোলা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে রোববার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে দুই সপ্তাহের নোটিশে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
Leave a reply