টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পরেও টাঙ্গাইলে এক মৃত শিশুকে জীবিত করতে কবিরাজের লবন থেরাপি দেয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শালদাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভূঞাপুরে পুকুরের পানিতে পড়ে আব্দুল্লাহ নামের আড়াই বছরের ওই শিশুর মৃত্যু হয়। ওই শিশু উপজেলার শালদাইর গ্রামের মানিক খানের ছেলে। শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলেও বাড়িতে নিয়ে শিশুটিকে পুনরায় জীবিত করতে লবন দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে দেয়া হয়। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার শালদাইর গ্রামের মানিক খানের শিশু সন্তানকে রেখে তার মা ধান শুকানোর কাজ করছিল। পরে শিশুটি খেলতে খেলতে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। এদিকে শিশুটিকে তার মা দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে পুকুরে শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে চিৎকার দেয় তার মা।
এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে শিশুর মরদেহ বাড়িতে নেয়ার পর তাকে জীবিত করতে এক কবিরাজ শরীরে লবন দিয়ে ঢেকে দেয়। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক শরীর লবন দিয়ে ঢেকে রাখলেও শিশুর প্রাণ না ফেরায় সন্ধ্যার আগে মরদেহ দাফন করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
Leave a reply