মঙ্গলবার মালামাল লুটের পর এক যুবককে হাত-পা বেঁধে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকার ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। কিন্তু ভাগ্য ভালো থাকায় ওই যুবক নীচে না পড়ে আটকে যায় ফ্লাইওভারের গার্ডারে। এভাবেই দীর্ঘ সময় পড়ে থাকেন তিনি।
রাত নয়টার দিকে দায়িত্ব পালন শেষে সাবান দিয়ে হাত ধুতে ফ্লাইওভারের গার্ডারের নীচে যান সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের এ এস আই শামীম মিয়া। এসময় জনমানব শুন্য ফ্লাইওভারে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পান তিনি। আওয়াজ অনুসরণ করে কাছে গিয়ে দেখেন গার্ডারের নীচে প্লাস্টিকের তার দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় সেখান থেকে পড়ে যেতে পারে। আর পড়ে গেলেই নিশ্চিত মৃত্যু। এমতাবস্থায় শামীম মিয়া পুরো বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। পরে আটকে পড়া যুবককে উদ্ধারের জন্য দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় পুলিশ।
খবর পেয়ে ওই যুবককে উদ্ধারে নামে ফায়ার সার্ভিস। দুই ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর ফ্লাইওভারের গার্ডারের নিচ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই যুবক। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী নানা রকম কৌশলে যুবকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে রোলারের মাধ্যমে প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করতে সমর্থ হন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
উদ্ধারের পর ওই যুবক জানান, দুজন যুবক তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও অন্যান্য মালামাল কেড়ে নেয়। পরে তাকে তার দিয়ে বেঁধে এভাবে ফেলে রেখে যায়।
এ বিষয়ে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার কবীর হোসেন জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ওই যুবক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গার্ডারের নীচে রয়েছে। তাকে উদ্ধারের নানা কৌশল নেয়া হলেও হাত-পা বাঁধা থাকায় কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। পরে রোলারের সাহায্যে আমাদের কর্মীরা যুবকের কাছে পৌঁছে যায় এবং তাকে উদ্ধার করে।
Leave a reply