হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। ইউপি মেম্বার ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল কাইয়ুম সিকদার (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরের বেজপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে কায়েসকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে নড়াগাতি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেন, কায়েসকে আজ আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ২৬ মে রাত ৯টার দিকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ূম সিকদারকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তার মৃত্যু হয়। তার হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জখমের চিহ্ন রয়েছে। কাইয়ূম নড়াগাতির বিলাফর গ্রামের হাসু সিকদারের ছেলে।
এসময় নড়াগাতি থানা কৃষকলীগের সভাপতি ও কলাবাড়িয়া গ্রামের আবুল হাসনাত মোল্যা (৪০) এবং একই গ্রামের আপন দুই ভাই মতিয়ার মল্লিক (৪২) ও সজীব মল্লিককে (২৮) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষরা। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৯ মে কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে প্রধান আসামি করে ৪৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন নিহত আব্দুল কাইয়ূমের ছেলে নাইমুল ইসলাম মিল্টন। এছাড়া ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন।
Leave a reply