ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামকে ঘুষ সাধলেন আরেক পুলিশ কর্মকর্তা যুগ্ম কমিশনার মো. ইমাম হোসেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানিয়ে ইমাম হোসেনকে বদলির অনুরোধ করেন ডিএমপি কমিশনার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুগ্ম কমিশনার মো. ইমাম হোসেন।
পুলিশের আইজিকে লেখা ডিএমপি কমিশনারের সেই চিঠি যমুনা টেলিভিশনের হাতে এসেছে। চিঠিতে ডিআইজির (অ্যাডমিন এন্ড ডিসিপ্লিন) দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
গত ৩০ মে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়- ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (লজিস্টিক) মো. ইমাম হোসেন বিপিএম-সেবা (বিপি-৭১৯৯০৭১৪০৫) একজন দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা। ডিএমপি’র বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তদুপরি তিনি ডিএমপি’র কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের নিকট পার্সেন্টেজ গ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করে। ফলে উক্ত কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে কর্মরত রাখা সমীচীন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। এ অবস্থায় উক্ত কর্মকর্তাকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
এদিকে চিঠির খবর প্রকাশের পর পুলিশ বাহিনীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, একজন যুগ্ম কমিশনারের বিরুদ্ধে স্বয়ং কমিশনারকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি গোটা বাহিনীকেই স্তম্ভিত করে দিয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মো. ইমাম হোসেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। যদি আমার কোনো অপরাধ থাকে তাহলে সেটা সিনিয়ররা দেখবেন। তবে এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও হতে পারে।
যদিও অভিযুক্ত কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিময়, দুর্নীতির সাথে যুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন। তার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের একাধিক অভিযোগ আছে বলেও জানান তারা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এটিকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ উল্লেখ করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Leave a reply