শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরে আট বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শিশুটির বাড়ি নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের একটি গ্রামে। ওই শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। রোববার বিকালে একই গ্রামের মিন্টু মণ্ডল (২৪) শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পরে। রাতেই তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। জরায়ুতে জটিল ক্ষতের সৃষ্টি হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন পরে। এ ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে না থাকায় শিশুটিকে রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মিন্টু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নড়িয়া থানা সূত্র জানায়, বিঝরী ইউনিয়নের একটি গ্রামের দরিদ্র কৃষকের ৮ বছর বয়সী মেয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। রোববার বিকালে সে বাড়ির পাশের মাঠে খেলা করছিল। ওই গ্রামের মিন্টু মণ্ডল তাদের গাছের মৌসুমি ফল দেয়ার কথা বলে শিশুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
আরও জানানো হয়, এ ঘটনা প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। বাড়ি ফিরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পরে। তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বিষয়টি তখনই পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন। মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ সোমবার ভোর রাতে অভিযুক্ত মিন্টু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনির আহমেদ খান বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির জরায়ুতে অনেক বড় ধরনের ক্ষত হয়েছে। অস্ত্রোপচার ছাড়া তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে আমাদের হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয় তাই গাইনি বিভাগের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই শিশুর বাবা বলেন, আমরা গরিব মানুষ, কারো ক্ষতিতো করি না, তবে কেনো মিন্টু এমন ঘটনা ঘটালো আমার মেয়ের সাথে। ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে মামলা নিয়েছি এবং আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a reply