সিরাজগঞ্জের আদালতে প্রতিবন্ধী শিশু চায়নাকে (১১) হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে অভিযুক্ত দাদা আর চাচা। স্বজন হত্যায় দুই অভিভাবকের স্বীকারোক্তির পর তাদের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের তদন্তে বের হয় চাঞ্চল্যকর তথ্য। জমির দখল পেতে চায়নাকে খুন করেছে তার আপন দাদা আর চাচা। পুলিশের তদন্তে শিশুর দাদা হাসেম ও চাচা সাদ্দামের জড়িত থাকার বেশকিছু কিছু আলমতও মিলেছে। এই দু’জন কীভাবে কৌশলে বাবা-মার কাছ থেকে প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে নিয়ে যায় এবং ২৫ ডিসেম্বর রাতে খুন করে আদালতে সে জবানবন্দিও দিয়েছে তারা।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন যমুনা টিভিকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সাদ্দাম (মৃত চায়নার চাচা) তার ভাতিজাকে গলাটিপে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে নদীর তীরে ফেলে আসে।
তবে এ কথা মানতে চান না চায়নার বাবা-মা। তাদের দাবি, তাদের প্রতিপক্ষের হাতেই খুন হয়েছে ১১ বছরের শিশুটি।
গ্রামবাসী বলছেন, জমির দখল নিয়ে হাসেম প্রামানিকের সাথে তার ভাইদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে একাধিক বার সংঘর্ষ আর শালিসও হয়েছে। সুরাহা না হওয়ায় লোভের বলি হতে হয় নিরপরাধ শিশুকে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়াখারুয়া গ্রামে নদীর তীর থেকে প্রতিবন্ধী শিশু চায়নার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় খুনের দায়ে অভিযুক্ত দাদা নিজেই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে হত্যার অভিযোগ আনেন ভাইদের বিরুদ্ধে।
Leave a reply