চলে গেলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে এ বর্ষীয়ান নেতাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে তানভীর শাকিল জয়। টানা দুই সপ্তাহ রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলে গেলেন তিনি।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর স্ট্রোক করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন চিকিৎসকরা। এরপর থেকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোহাম্মদ নাসিমের অবদান স্মরণ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারা।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। সিরাজগঞ্জ থেকে পাঁচ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রের দায়িত্বও সামলে এসেছেন তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর আগে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয় তাকে। এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
Leave a reply