ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সবচেয়ে বড়ো জয়টি পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে লংকানদের তারা হারিয়েছে ১৬৩ রানে। টাইগারদের দেয়া ৩২১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৫৭ রানে গুটিয়ে গেছে হাথুরুসিংহের শীষ্যরা।
ব্যাটের পর বল হাতেও লংকানদের হন্তারক ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৪৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে দুটি উইকেট নিয়েছে পরপর দুই বলে।
এই জয়ে সবার আগে ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত করে ফেললো বাংলাদেশ। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য টানা দ্বিতীয় ম্যাচসেরা হন- সাকিব আল হাসান
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তামিম সাবধানী সূচনা করলেও বিজয় ছিলেন মারমুখী। লংকান ফিল্ডারদের ব্যার্থতায় একাধিকবার জীবন পেলেও ইনিংসটা দীর্ঘ করতে পারেননি প্রায় ৩ বছর পর দলে ফেরা বিজয়। ৭১ রানের ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে ফিরে যান বিজয়। এরপর তামিমের সাথে বড় জুটি গড়েন চলতি সিরিজে ৩ নম্বরে উঠে আসা সাকিব। তামিম তার ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফ সেঞ্চুরি তুলতে বল খেলেছেন ৭২টি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের এই ব্যাটিং স্তম্ভ সাজঘরে ফেরেন ৮৪ রান করে। সেঞ্চুরি মিস হলেও এর মাঝেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন তামিম।
১৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর ইনিংসের হাল ধরেন সাকিব ও মুশফিক। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের তিনশোর কোটায় পৌঁছে বাংলাদেশের ইনিংস। সাকিব ফিরে যান ৬৭ করে, মুশফিক করেন ৬২। সাব্বিরের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাড়ায় ৭ উইকেটে ৩২০ রান। লংকান বোলারদের মধ্যে ৬০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন থিসারা পেরেরা।
প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দুরন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে নিজেদের মাঠে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছিল টাইগাররা। তবে উল্টো চিত্র শ্রীলংকার। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের কাছে হারের স্বাদ পেয়েছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল।
Leave a reply