অনেকটা প্রত্যাশিতই ছিল এটা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগেই পাকিস্তানের তালেবাননীতি বিষয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। ক্ষমতাগ্রহণের পর তাই মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে পাকিস্তান নিয়ে নতুন চিন্তা ভাবনা শুরু হবে- এটা ধরেই নেয়া হয়েছিল।
অবশেষে তা এখন প্রকাশ্য হয়েছে। গত সোমবার ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, উগ্রবাদী ইসলামপন্থিদের টেকাতে আফগানিস্তানে আরও সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত তার দেশ। এ পদক্ষেপ আফগান সরকার, পাকিস্তান ও ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তার পরদিন মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি তালেবানের প্রতি নিজেদের নীতি পরিবর্তন না করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ট মিত্রদের অন্যতম ইসলামাবাদকে সামরিক খাতে বছরে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেয় ওয়াশিংটন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিনীদের কাছে মিত্র হিসেবে অগ্রাধিকার হারাতে পারে।
আফগান তালেবানকে সমর্থন বা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তবে দেশটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে ফোর্ট মায়ারে গত সোমবার দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আফগানিস্তান থেকে হুট করে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। এটি তখন জঙ্গিদের জন্য সুযোগ করে দেবে। কাজেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বদলে জয়ী হওয়ার লড়াই চালিয়ে যেতে আগ্রহী তিনি। দেশটিতে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য পাকিস্তানের ওপর যে মারাত্মক চাপ তৈরি করেছে ইসলামাবাদ তা কিভাবে মোকাবেলা করে সেটাই দেখার বিষয়।
/কিউএস
Leave a reply