করোনা মহামারিতেও কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে পর্যটকদের আটকানো যাচ্ছে না। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন হাওরে। রীতিমতো আয়োজন করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নৌকা ভাড়া করে। সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়লেও এ ব্যাপারে সচেতন নয় অনেকে।
সবাই ঘরে থাকতে থাকতেই যেন ক্লান্ত। চারদিকে মহামারি, কিন্তু বের হতেই হবে বাইরে। এমনটাই দেখা গেলো ঘুরতে আসা মানুষদের মধ্যে। দুর্যোগকালীন অবস্থাকেও তোয়াক্কা না করে, সুদূর রাজধানী থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে হাজির হয়েছেন অনেকে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে। বন্ধুরা মিলে মজা করবেন, গা ভাসাবেন হাওরের জলে। যদিও করোনাকালে তাদের ঘরে থেকে মহামারি মোকাবেলার কথা; কিন্তু মানেননি সে নির্দেশনা।
হাওরে প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকেও লোকজন আসছেন ঘুরতে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও সে দিকে নজর নেই কারও। অনেকে সাথে আনছেন পরিবারের ছোট্ট সদস্যটিকেও। ঘুরতে গিয়ে, অনেকে অপরিচিত জনের সাথে ভাড়া করছেন নৌকা। তাতে চেপেই ভ্রমণ করছেন হাওর। কিন্তু কে জানে, ঘরে ফেরার সময় শরীরে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন করোনাভাইরাস।
দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই নিকলী হাওরে পর্যটকদের যাওয়া-আসা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। কিন্তু সেই নির্দেশনা শুনছে না কেউ।
২০০০ সালের দিকে হাওরবেষ্টিত উপজেলা নিকলীতে ৫ কিলোমিটার এলাকায় দেয়া হয় বেড়িবাঁধ। ধীরে ধীরে এই বেরিবাধ এলাকাটিই ভ্রমণবিলাসীদের কাছে হয়ে ওঠে পর্যটনকেন্দ্র।
টিবিজেড/
Leave a reply