স্ট্রেস ক্রমশ আমাদের জীবনের আবশ্যক অঙ্গ হয়ে উঠছে। তার ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নানা লাইফস্টাইল ডিজিজ। ব্লাড প্রেশার, রক্তে শর্করার মাত্রা কোনও কিছুই আর নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মমাফিক খাওয়াদাওয়া করা এবং রোজের রুটিনে খানিকটা অন্তত ব্যায়াম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি যদি সমস্যার একেবারে গভীরে পৌঁছতে চান, তা হলে আগে তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। যেমন-
আপনার অফিস কোনওভাবে স্ট্রেসের কারণ নয় তো?
চিন্তা করে দেখুন, অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর বা ছুটির দিনেও কি সারাক্ষণ আপনার গ্যাজেটে কাজ সংক্রান্ত মেসেজ বা ইমেল ঢুকতেই থাকে? যত দিন যাচ্ছে, প্রত্যেকের জীবনই তত গভীরভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে টেকনোলজির দ্বারা এবং তার ফলে প্রভাবিত হচ্ছে ব্যক্তিজীবন। ‘ভার্জিনিয়া টেক’ নামক একটি সংস্থা কিছুদিন আগে ‘কিলিং মি সফটলি: ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন মনিটরিং অ্যান্ড এমপ্লয়ি অ্যান্ড সিগনিফিক্যান্ট আদার ওয়েল বিয়িং’ শীর্ষক গবেষণাটি করেছিল। তাতেই দেখা গিয়েছে, ছুটির পরেও অফিসের কাজ সারতে বা মেলের উত্তর দিতে গিয়ে কর্মীরা ব্যক্তিগত দায়দায়িত্বগুলি ঠিকভাবে পালন করে উঠতে পারছেন না। সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত অন্যতম গবেষক উইলিয়াম বেকারের মতে, এর ফলে স্ট্রেস আর অ্যাংজাইটি বাড়ছে, ক্রমশ কমছে প্রডাক্টিভিটি। তার পরামর্শ, চাকরির পূর্বশর্ত না থাকলে কাজের শেষে বাড়ি ফেরার পর আর ফোন দেখবেন না, বন্ধ রাখুন।
কী ভাবছেন? তেমনটা সম্ভব নয়? রাতারাতি যদি ফোন বন্ধ না করতে পারেন, তা হলে অন্তত মেসেজের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দিন। মনে রাখবেন, শরীর আপনার, সুস্থ থাকার দায়টাও আপনার। নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ নিলে কিন্তু ক্যারিয়ারটাই তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেতে পারে। সেটা কি আর ভালো হবে?
এদিকে মানুষভেদে স্ট্রেস আলাদা আলাদা। তাই স্ট্রেস কমানোর কথা ভাবাই বুদ্ধিমানের কাজ। সামান্য কিছু পরিবর্তন আনুন জীবনযাপনে। তাতে আর ভেঙে পড়বেন না।
১। ব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন
২। কাজের সাথে মিল রেখে প্রতিদিনের রুটিন গুছিয়ে নিন
৩। খাবারে শাক ও হার্বসের সংখ্যা বাড়ান
৪। সঠিক খাবার খেতে হবে
৫। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
আজই শুরু করে দিন। এই সামান্য কয়েকটি বদল আনলেই স্ট্রেসের সাথে মোকাবিলার ক্ষমতা বাড়বেই।
Leave a reply