মাত্র ৪৩ হাজার টাকার জন্য বন্ধুকে হত্যা করে লাশ তিন টুকরো করে বস্তায় ভরে তিন জায়গায় রেখে আসা অভিযুক্ত রূপম সরকারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। স্ত্রী ও শাশুড়ির সহায়তায় ঠান্ডা মাথায় বন্ধুকে খুন করার পর পরই রূপমের স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
এর আগে, ১৪ জুন হেলালকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন তার ব্যবসায়িক অংশিদার ও বন্ধু রূপম। বাসায় পৌঁছার পরই ঘুমের ওষুধ মেশানো চা খাওয়ানো হয় হেলালকে। এরপর খুন করা হয় তাকে। নৃশংস সেই কাজে রূপমকে সব ধরনের সহায়তা করেন রূপমের স্ত্রী মনি ও শাশুড়ি রাশিদা।
পরদিন বেলা দশটার দিকে হেলালের লাশ একটি বস্তায় ভরে ইজিবাইকে চড়ে রাজধানীর দক্ষিনখানের মোল্লারটেক এলাকায় নিয়ে যান রূপম। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পাশের আরেকটি আবাসিক এলাকায় ইজিবাইক থামান তিনি। নির্জন জায়গা দেখে এদিকে-সেদিক খেয়াল করে একটি গলির ভিতরে গিয়ে বস্তাটি ফেলে নির্লিপ্ত ভাবে এলাকা ছাড়েন রূপম।
খুনের পর হেলালের পকেটে ২৫৩ টাকা পায় অভিযুক্তরা। পরে তার মোবাইলের বিকাশ একাউন্ট থেকে আরও ৪৩ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয়া হয়। এ নিয়ে মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আটক করা হয় স্ত্রী মনি ও শাশুড়ি রাশিদাকে। তাদের দেয়া তথ্য ও ফুটেজ দেখে জানা যায়, হেলালের লাশ তিন টুকরা করে তিন জায়গায় ফেলে দেয়া হয়েছে।
Leave a reply