মহামারি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে হাঁটছে। এমতাবস্থায় প্রতিদিন এক লাখ লোক আক্রান্ত হলেও অবাক হবো না বলে জনিয়েছেন আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ অ্যান্তনি ফাউসি।
মার্কিন সিনেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম ও পেনশন কমিটির এক শুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসাচ ডিজিজের (এনআইএআইডি) পরিচালক ফাউসি বলেন, ‘আমি উদ্বেগে রয়েছি। যা ঘটছে, এতে আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ, আমরা ভুল পথে হাঁটছি। আমি সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না, তবে এটি খুব খারাপ হতে চলেছে।’
টেক্সাস ও ফ্লোরিডার বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় করোনাভাইরাস বিস্তারের নতুন কেন্দ্রস্থল হিসেবে টেক্সাস ও ফ্লোরিডায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। দেশজুড়ে প্রতিদিন এখন ৪০ হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে। দ্রুত সংক্রমণ কমিয়ে আনা উচিত, যাতে দেশজুড়ে সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ না করে। আমাদের হাতে এখন আর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেই। এখন যদি এটা ঘুরে না দাঁড়ায়, তবে দিনে এক লাখ সংক্রমণ ছাড়ালেও অবাক হব না।’
ফাউসি বলেন, ‘তরুণেরা মাস্ক না পরেই এক হয়ে বিপজ্জনক আচরণ করছে। তারা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানছে না। আমাদের এখন দায়িত্বের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। ব্যক্তি ও সামাজিক প্রচেষ্টা হিসেবে মহামারি মোকাবিলা করতে হবে।’
ট্রাম্পের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, মাস্ক পরার বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির ইতি টানার ক্ষমতা ট্রাম্পের আছে। বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে যে ট্রাম্পের পক্ষে থাকলে মাস্ক পরার দরকার নেই। আর কেউ মাস্ক পরলে সে ট্রাম্পবিরোধ। ট্রাম্পের অনেক অনুসারী আছেন। তিনি মাস্ক পরলে তাঁরা তাঁকে অনুসরণ করতে পারেন।
মঙ্গলবার সাড়ে ৭শ’ মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার। আক্রান্ত ২৭ লাখের বেশি। -পার্স টুডে
Leave a reply