করোনাভাইরাস পরীক্ষায় সরকারি হাসপাতালে ফি আরোপ গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অবিলম্বে আরোপিত ফি বাতিল করে বিনামূল্যে নাগরিকদের টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন এমনিতেই অর্থনৈতিক সংকট চরমে। মহামারির চিকিৎসা কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে হয়না। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমস্ত মনোযোগ দুর্নীতি আর লুটপাটে বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং তার দলের নেতা-মন্ত্রীরা প্রায়শই দাবি করেন বিশ্বে বাংলাদেশ নাকি রোল মডেল। কিসের জন্য বাংলাদেশ মডেল? স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশ এখন দুর্নীতির জন্য সারা বিশ্বের কাছে মডেল। কারণ এরা যেমন ‘স্বর্ণের মেডেল’ থেকে স্বর্ণ চুরি করে আবার করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য বরাদ্দ করা ত্রাণের চাল চুরি ও নকল মাস্কের ব্যবসা করতেও রোল মডেল হয়েছে।
এখন মরণঘাতী করোনা মহামারি পরীক্ষার ওপর ২০০ টাকা ফি আরোপ করার সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর। মানুষের ঘরে খাবার নেই। হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে অসহায়ভাবে পথে-ঘাটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। প্রয়োজনের তুলনায় পরীক্ষাও হচ্ছে নামমাত্র। এরমধ্যে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। করোনা মহামারির চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাষ্ট্রের। বিশ্বের কোথাও সরকারিভাবে কোভিড টেস্টে অর্থ নেয়া হয় না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কোভিড টেস্টের রেকর্ড দক্ষিণ কোরিয়ার। তারা দিনে এক লাখের উপর মানুষের কোভিড টেস্টও করেছে। এমনকি অ্যান্টিবডি টেস্টও করেছে। তাদের সমস্ত টেস্টই বিনামূল্যে করা হচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গরিব দেশ আফগানিস্তানে কোভিড টেস্ট বিনামূল্যে করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, এমনিতেই করোনার অভিঘাতে আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ, এর ওপর বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানির মূল্য বৃদ্ধিতে তারা দিশেহারা। এর সঙ্গে করোনা টেস্টের ফি ২০০ টাকা ধার্য করে সরকার এখন ভ্যাম্পায়ারের ন্যায় রক্তচোষার ভূমিকায়।
Leave a reply