সামান্য জ্বর; তাই বাবা-মাকে ফেলে গেছে রাস্তায়। অথচ পরীক্ষায় দেখা গেছে এদের কেউই করোনা পজেটিভ নন। রক্ত পানি করে যে সন্তানকে বড় করেছেন তাদের অমানবিকতায় বাকরুদ্ধ এইসব বয়োজ্যেষ্ঠরা। ভাগ্যহারা এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজধানীর চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ হোম নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
নাম না জানা এক বৃদ্ধার হঠাৎ করেই গায়ে জ্বর আসে। করোনা হয়েছে এমন শংকায় সেবা যত্নের বদলে তাঁকে ছুঁড়ে ফেলেছে সন্তান। প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় এখন বৃদ্ধাশ্রম। ঝাপসা চোখে নিজের সন্তানের কাছে যাবার আকুতি আছে। কিন্তু করোনার ভয়ে হার মেনেছে মমতা।
আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে কে বা কারা ফেলে রেখে যায় মিরপুরে, রাস্তার পাশে। মাস খানেক আগের কথা। তারপর আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রমে। সেই থেকে শুধু স্বজনের অপেক্ষা।
আর নিজের পরিচয় না জানা এক বৃদ্ধকে পাওয়া যায় রাজধানীর কল্যাণপুরে। শত চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি পরিবারের কাউকে।
পেশায় চিকিৎসক এক বৃদ্ধাকে একমাস আগে পাওয়া যায় মিরপুরে। সম্পত্তি বুঝে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে ফেলে গেছে রাস্তায়।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কল্যাণপুরের এই বৃদ্ধাশ্রমে এখন পর্যন্ত আশ্রয় হয়েছে ৪১ জন বৃদ্ধা এবং ৩০ বৃদ্ধের। করোণা সংকটে এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
একই প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়া প্রতিবন্ধী শিশুরাই এখন অসহায় এই প্রবীনদের সঙ্গী। মনে চাপা ক্ষোভ অথবা রাগ যাই থাকুক না কেনো প্রতি মুহুর্তে অসহায় মানুষগুলো অপেক্ষা পরিবারের সদস্যদের জন্য।
Leave a reply