মরণঘাতী ক্যান্সারের সাথে দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে মারা গেছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। সোমবার সন্ধ্যায় জন্মস্থান রাজশাহীতে বোন-দুলাভাইয়ের ক্লিনিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত দু’দিন ধরেই তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। বাবার এমন অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় থাকা দুই ছেলে-মেয়ে দেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। শেষ অবস্থায় অন্তত বাবার পাশে থাকতে চেয়েছিলেন। টিকিট পাওয়ামাত্রই দেশের উদ্দেশে রাওনা করবেন এমনটাই ছিল ভাবনা। কিন্তু তারা দেশে ফেরার আগেই যে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাবা।
জন্মস্থান রাজশাহীতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এন্ড্রু কিশোর। সেখানে বোন ডা. শিখা বিশ্বাস ও দুলাভাই ক্যান্সার চিকিৎসক ডা. প্যাট্রিক বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। তাদের ক্লিনিকের আইসিইউতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এন্ড্রু কিশোরের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তারা দু’জনই অস্ট্রেলিয়া থাকেন। মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা সিডনিতে গ্রাফিক ডিজাইন ও ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক মেলবোর্নে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়াশোনা করছেন। বাবার সঙ্গে তাদের সব সময়ই যোগাযোগ ছিল।
দু’দিন ধরে বাবার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তারা। করোনা–পরিস্থিতির কারণে বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট পাওয়াটা কষ্টসাধ্য। সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। দু’জন অস্ট্রেলিয়ার দুই স্টেটে থাকেন। কে আগে টিকিট পাচ্ছেন, কে-কীভাবে আসবেন এসব সুরাহার হতে হতে চলে গেলেন
বাবা এন্ড্রু কিশোর। শেষ সময়ে বাবার পাশে থাকতে না পারার এই বেদনার কোনো প্রলেপ আছে?
Leave a reply