নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অনুমোদনহীন কারখানা স্থাপন ও তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে মানহীন মশার কয়েল উৎপাদন, বিপণন ও মজুদের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
অভিযানে র্য্যাবের ভ্র্যাম্যমাণ আদালত পাচঁটি কয়েল করাখানা থেকে বিপুল পরিমাণ কয়েল জব্দ করেছে। এ সময় পাচঁটি কয়েল কারখানার পাচঁজন ম্যানেজারকে আটক করে র্যাবের নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট পলাশ কুমার বসু প্রত্যককে এক বছর করে সাজা প্রদান করেছেন। এ সময় পাচঁটি কয়েল কারখানার সিলগালা করা হয় ও তিতাস গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
র্যাব ১১ সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গোকুলদাসের বাগ এলাকার সাব্বির কেমিক্যাল, বিথি এন্টারপ্রাইজ, সেবা কর্পোরেশন, শারমিন কেমিকেল কোম্পানিসহ পাচঁটি কারখানায় বিএসটিআইসহ কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে মানহীন মশার কয়েল উৎপাদন করছে তারা।
এমন খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে পাচঁটি কয়েল কারখানায় একযোগে অভিযান চালায় র্যাব। এসময় কারখানায়গুলো থেকে বিপুল পরিমাণ মানহীন উৎপাদিত কয়েল জব্দ করা হয় এবং পাচঁটি কারখানার পাচঁজন ম্যানেজারকে আটক করা হয়।
পরে র্যাবের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আটককৃতরা স্বীকার করে তাদের উৎপাদিত মশার কয়েল মানহীন ও কেমিকেল এক্সপার্ট দিয়ে প্রস্তুতকৃত নয়। এসব কারখানায় কয়েল উৎপাদনে যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তার মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। পরে ভ্রাম্যামাণ আদালত পাচঁজনের প্রত্যেককে এক বছর করে সাজা প্রদান করেন এবং কারখানা সিলগালা করে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডেকে এনে প্রতিটি কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
প্রতিটি কারাখানায় প্রতি মাসে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার গ্যাস খরচ করা হতো। যার কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে।
Leave a reply