একই হাসপাতালে করোনায় মারা যায় দুই নারী। একজন মুসলমান অন্যজন হিন্দু। দুই পরিবারকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের আত্মীয়ের লাশ সরাসরি কবরস্থান ও শ্মশানে পৌঁছে দেয়া হবে।কবরস্থানে শেষ বারের মতো দেখার জন্য মুখের কাপড় সরিয়েই চমকে ওঠেন মুসলিম পরিবারটি। এতো অন্য নারী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেহ বদল হয়ে গিয়েছে একজন মৃত হিন্দু নারীর সঙ্গে। এদিকে নিজেদের আত্মীয় ভেবে মুসলিম নারীর দেহ দাহ করে ফেলেছেন ওই হিন্দু পরিবার। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। আনন্দবাজার।
জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের বরেলীর বাসিন্দা আমানউদ্দিন। গত ৪ জুলাই বোনকে ভর্তি করেন হাসপাতালে। সেই রাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বোনের করোনা ধরা পড়েছে। দু’দিন পরে ৬ জুলাই মারা যান আমানউদ্দিনের বোন। ওই দিনই গাজিয়াবাদের এক মহিলাও মারা যান করোনা সংক্রমণে। ৬ জুলাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরের দিন, অর্থাৎ ৭ জুলাই দুপুরে কবরস্থানে মৃতদেহ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে হাসপাতাল। অন্য দিকে, হিন্দু পরিবারটিকেও জানানো হয়, তাদের আত্মীয়ের মৃতদেহ সোজা পৌঁছে যাবে শ্মশানে। হাসপাতাল থেকে শ্মশান ঘুরে কবরস্থানে পৌঁছায় হাসপাতালের গাড়ি। সেখানেই মৃতার মুখের আবরণ সরিয়ে চমকে ওঠেন আমানউদ্দিন। এতো অন্য নারী! এর পর টিকিট মিলিয়ে দেখা যায়, তাতে অন্য নাম।
গাড়ির চালক জানান, ভুল করে মৃতদেহ বদলাবদলি হয়ে গিয়েছে। এখনই গিয়ে বোনের দেহ নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যান চালক।
সারাদিন কবরস্থানে অপেক্ষার পরে সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, যাদের কাছে আমানউদ্দিনের বোনের মৃতদেহ গিয়েছিল, তারা সেটিকে নিজেদের আত্মীয় ভেবে দাহ করে ফেলেছেন।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং হিন্দু নারীর লাশ তাদের প্রকৃত আত্মীয়ের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
Leave a reply