ভারতের দিল্লির নিমাজউদ্দিন মারকাজ মসজিদে ইজতেমায় যোগ দেওয়ায় আটক ৮২ বাংলাদেশি জামিন পেয়েছেন। লকডাউনের সময় তাবলিগে যোগ দেয়ার ফলে তাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, শুক্রবার দিল্লির একটি আদালত তাদের জামিন দেয়। বাংলাদেশি এসব নাগরিকদের বিরুদ্ধে করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় তাবলিগ-জামাতে যোগ দিয়ে ভিসা শর্ত ভঙ্গ, অবৈধভাবে ধর্মপ্রচার কাজে যোগদান এবং সরকারের বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার বন্ডে নিজ মুচলেকায় জামিনে মুক্তি দেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গুরমোহিনা কাউর। শুনানি চলাকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল আটক বাংলাদেশিদের।
বাংলাদেশিদের পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশিমা মন্ডল ও মন্দাকিনি সিং জানিয়েছেন, শুক্রবার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবাব দিয়েছেন আসামিরা। এতে তারা দোষ স্বীকার করে লঘুদণ্ডের আবেদন করেছেন।
ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, কোনো অপরাধ সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে প্রভাবিত না করলে এবং কোনো নারী বা ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুর বিরুদ্ধে অপরাধ না হলে দোষ স্বীকার করা হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের সদর দফতর ‘বাংলাওয়ালি মসজিদ’ বা ‘মারকাজ নিজামুদ্দিনে’ মার্চ মাসে সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন এসব বাঙালীরা। ওই সময় মারকাজে যোগ দেওয়ায় করোনা ছাড়ানো হচ্ছে ভারত জুড়ে- এমন আতঙ্ক তৈরি হয়। সমালোচনার মুখে পড়ে দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজ।
Leave a reply