একটু অসাবধানতায় গরম তেলে বা চুলার আগুনে শরীরের যেকোন অংশ পুড়ে যেতে পারে। এতে ভয়ে কিছু নেই। এসব পোড়ার চিকিৎসায় ঘরেই করা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারলে পরবর্তী সময়ে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
বেকিং সোডা: ক্ষত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য থাকায় ক্ষত স্থানকে সংক্রমিত হতে দেয় না এই সোডা। এটি ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ রাখে। তাই পুড়ে যাওয়ার ব্যথা ও যন্ত্রণা দ্রুত কমে যায়।
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ১-২ টেবিল চামচ পানিসহ ব্লেন্ড করে সরাসরি ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করুন।
মধু: মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটি, যা পুড়ে যাওয়া ক্ষতকে সংক্রমিত হতে দেয় না। জ্বালাপোড়া কমায় ও এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২ চা চামচ মধু নিয়ে আক্রান্ত স্থানে মেখে রাখুন। ফল পেতে দিনে ৩ বার প্রয়োগ করুন।
টুথপেস্ট: টুথপেস্টে রয়েছে মিন্ট, যা পোড়া অংশের ব্যথা কমায় ও ক্ষত মসৃণ করতে সাহায্য করে।
ক্ষত স্থান ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে এর চারপাশে মিন্টযুক্ত সাদা টুথপেস্ট মাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিনবার এটি ব্যবহার করুন।
লবণ: লবণে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড। এর প্রাকৃতিক নিরাময় শক্তি ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ফোস্কা সারাতে ও দ্রুত পুড়ে যাওয়া সারিয়ে তুলতে কাজ করে।
কয়েক ফোঁটা পানির সঙ্গে ১ চা চামচ লবণ মিশিয়ে পেস্ট বানান। আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দিনে কয়েকবার এটি করতে পারেন।
Leave a reply