কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন মোনালি ঠাকুর। তার স্বামী মাইক পেশায় ব্যবসায়ী, থাকেন সুইজারল্যান্ডে। হোটেলের ব্যবসা তার। এই খবর সামনে আসতেই মোনালিকে নিয়ে ট্রোল শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গায়িকা নাকি অর্থের লোভে বিয়ে করেছেন, ইংরেজিতে যাকে বলে, ‘গোল্ড ডিগার’। এতদিন এই সব ট্রোলকে পাত্তা না দিলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন মোনালি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
মাইকের সঙ্গে আংটি বদলের ছবি শেয়ার করে মোনালি লিখেছেন, “যারা ওই সব বলছে তারা নিজেরাই ব্যক্তিগত জীবনে ব্যর্থ। শুধু তাই নয় এই গোল্ড ডিগার কিন্তু সফল ব্যবসায়ীটির থেকে বেশিই রোজগার করেন।”
নেটিজেনদের মতে, নাম না করে নিজের কথাই বলতে চেয়েছেন মোনালি। বাস্তবিক জীবনে তার আয় যে মাইকের থেকে বেশি সেই ইঙ্গিতই দিলেন এই বাঙালি গায়িকা। শুধু তাই নয়, মাইককে বিয়ে করার পিছনে অর্থের লোভ নয়, বরং তার জন্য মাইকের ভালোবাসা, পাশে থাকার ইচ্ছাই যে প্রবল হয়ে উঠেছিল সে কথাও জানিয়েছেন মোনালি।
মোনালি-মাইকের বিয়েটা হয়েছিল অদ্ভুতভাবে। বছর তিনেক আগে আলাপ হয় তাদের। সেখান থেকেই প্রেম। মাইক সুইজারল্যান্ড থেকে ভারতে উড়ে এসেছিলেন বিয়ে করার জন্য। কিন্তু ভিসা ছাড়াই। মাইকের এক শুভাকাঙ্ক্ষীকে নাকি বলেছিলেন, এক দিনের জন্য যাচ্ছেন রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করতে। মাইকের কাছে জার্মান পাসপোর্ট আছে। ফলে, আলাদা করে ভিসা লাগবে না। সেই কথা শুনে মাইক সাতপাঁচ না ভেবেই পা রাখেন ভারতে।
তারপর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় তাকে। বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকেও রাখা হয়। এদিকে মোনালি বসে রেজিস্ট্রি অফিসে! শেষে মাইকের দেখা না পেয়ে ফোন করতেই জানতে পারেন পুরো ঘটনা। খবর কানে যেতেই বাড়িতে হুলুস্থুল। মোনালি তখন হবু স্বামীকে জেল-হাজত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করে চলেছেন। অবশেষে কোনো রকম সাজগোজ ছাড়াই স্নিকার আর গায়ের থেকে বড় মাপের জামা পরেই বিয়ে করেন তারা।
ইউএইস/
Leave a reply