আগামীকাল মঙ্গলবার যমুনা ফিউচার পার্ক প্রাঙ্গনে সীমিত পরিসরে জানাজার নামাজ শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে।
আজ সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যমুনা গ্রুপের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান যমুনা গ্রুপের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম।
তিনি বলেন, টানা পনেরো দিন এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউ ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসকরা তার সুচিকিৎসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। এসময়, চীনের তিন জন বিশেষজ্ঞ ও মাউন্ট এলিজাবেথের দুই জন বিশেষজ্ঞ টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করেছেন।
তিনি জানান, জনাব নুরুল ইসলামে ফুসফুসে একটি ইনফেকশন হয় সেটি তার হার্টে ও কিডনিতে প্রভাব পড়ে। এসময় তার কিডনিতে ডায়ালাইসিস চলছিল। হঠাৎ করেই তার ব্লাড প্রেসার খুব কম হয়ে যায়। যার ফলে তার ডায়ালাইসিস করা যায়নি। তারপর সবকিছু চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।
আলমগীর আলম বলেন, নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন প্রবাদ পুরুষ। শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তার মতো যারা শিল্পউদ্যোক্তাকে হারানো দেশের জন্য একটি বড় ক্ষতি।
জনাব নুরুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ৩ মে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নাগপাশ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার মানসে ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করেন। মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার মাধ্যমে একে একে শিল্প এবং সেবা খাতে গড়ে তোলেন ৩৮টি প্রতিষ্ঠান।
তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম একজন সংসদ সদস্য। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সালমা ইসলাম জাতীয় পার্টির একজন শীর্ষ নেতা। এ দম্পতির সংসারে আছে ১ পুত্র ও ৩ কন্যা। ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তিন মেয়ে- রোজালিন ইসলাম, মনিকা ইসলাম এবং সোনিয়া ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক।
Leave a reply