সমাপ্তি ঘটেছে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য জগতের এক বর্ণিল অধ্যায়ের। গতকাল না ফেরার দেশে চলে গেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। আজ বাদ জোহর যমুনা ফিউচার পার্কে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে আধুনিক চিন্তার সাহসী এই উদ্যোক্তার মৃত্যতে শোকবহ পরিবেশ তৈরি হয় হাসপাতাল এলাকায়।
গেল ১৪ জুন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদ নূরের নেতৃত্বে ১০ জনের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চলছিল চিকিৎসা। চিকিৎসায় যোগ দেন হার্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রিচার্ড ও কিডনী বিশেষজ্ঞ উ হু। ছিলেন চার জন চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তবে, শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টা ব্যর্থ করে নুরুল ইসলাম পাড়ি জমালেন পরপারে।
ভবিষ্যত বাংলাদেশের চিন্তা করেই দূরদৃষ্টি দিয়ে নুরুল ইসলাম গড়ে তোলেন যমুনা ফিউচার পার্ক। সেই প্রিয় প্রাঙ্গনেই সীমিত পরিসরে আজ বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে জানাজা। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেয়া হবে, গার্ড অফ অনার।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
Leave a reply