যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলছে। কিছুতেই নাগালে আসছে না ভাইরাসের তাণ্ডব। এবার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ জানালেন দেশটির করোনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য ড. অ্যান্থনি ফাউসি।
সবশেষ তথ্যমতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা তাণ্ডবে দেশটিতে ৬০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। দুই একদিনে মৃত্যু কিছুটা কমে এলেও তা আশাব্যঞ্জক নয়। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে।
স্ট্যানফোর্ড মেডিসিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে করোনাবিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক ড. অ্যান্থনি ফাউসি জানান, পুরোপুরি শাটডাউন না করা আর বিধিনিষেধ শিথিলে তাড়াহুড়ার কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে ফের ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।
এসময় কোভিড-১৯ নির্মূলে হোয়াইট হাউসের টাস্কফোর্সের দেয়া নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলারও তাগিদ দেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমতাবস্থায় করোনা থেকে বেঁচে থাকার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন ফাউসি। শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা এবং হাত ধোয়ার মতো মৌলিক সুরক্ষার বিষয়গুলো মেনে চলার ওপর জোর দেন তিনি। একইসাথে প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের ফের ঊর্ধ্বগতিতে দৃঢ় সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।
ফাউসি বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি শাটডাউন করতে পারিনি, এ কারণেই আমাদের সংক্রমণের হার আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা নামতে শুরু করেছিল, কিন্তু যখন (গ্রাফ) খানিকটা সমতল ছিল, তখনও এ সংখ্যা তুলনামূলক বেশিই ছিল, দিনে প্রায় ২০ হাজারের মতো আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছিল।
উল্লেখ্য এ কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার মতবিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে এক বিবৃতিতে ফাউসি বলেন, ‘এর পরই আমরা বিধিনিষেধ শিথিল করে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখতে শুরু করি, যার ধারাবাহিকতায় আমরা এখন ক্যালিফোর্নিয়া, আরিজোনা, টেক্সাস, ফ্লোরিডাসহ আরও কিছু রাজ্যের অবস্থা দেখছি।’
Leave a reply