ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামিকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিহতের মামলার প্রধান অভিযুক্ত মামুন মিয়া র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
সোমবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজার এলাকায় এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন চান্দপুর গ্রামের মুছা মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের উপ-পরিচালক চন্দন দেবনা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুনকে ধরতে র্যাবের একটি দল স্থানীয় চাঁনপুর বাজারে যায়। এই সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন
মিয়া ও তার সহযোগিরা গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি চালালে মামুন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক পান্নু ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার আহত হয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে সাদা পোশাকে সদর উপজেলার চান্দপুর ব্রিজের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করার সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে ছুরি দিয়ে
সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেনের বুকের বাম পাশ ও মাঝখানে আঘাত করে। এতে এএসআই আমির হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মী মণি শঙ্করসহ স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে সদর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মামুন মিয়ার ছোট ভাই ইসমাইল মিয়াসহ
দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Leave a reply