সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বিচার করে বিশ্লেষকরা বলছেন, আয়ারল্যান্ডই সম্ভবত ইউরোপের সবচেয়ে ইসরাইল-বিরোধী দেশ! গত সপ্তাহে আয়ারল্যান্ডের সংসদে আলোচনা হয় ‘কন্ট্রোল অফ ইকনোমিক এক্টিভিটি( ওকুপাইড টেরিটরি) বিল ২০১৮।’ নিয়ে।
বিলটির উদ্যোক্তা আইরিশ এমপি ফ্রান্সেস ব্ল্যাক বলেছেন, এই বিল পাস হলে দখলদার ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্য করতে পারবেন না আয়ারল্যান্ডের কেউ। আমদানি, রপ্তানিসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদ কেনাবেচা বেআইনি হয়ে যাবে।
যদিও ওই বিলটির ওপর ভোটাভোটির দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের আসল উদ্দেশ্য বিডিএস আন্দোলনকে সমর্থন করা। ইসরায়েলের ক্ষতি করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
বিডিএস হল ফিলিস্তিন-ভিত্তিক এবং ইসরায়েলবিরোধী একটি সামাজিক আন্দোলন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিএডএসের পক্ষে কাজ করেন।
আয়ারল্যান্ডের ইসরায়েলি দূতাবাস এই বিল নিয়ে উষ্মা করেছে। তারা বলেছে, ‘এই বিল মুক্ত বাণিজ্য নীতির পরিপন্থী। ইসরায়েলকে যারা বয়কট করতে চায় তারাই শুধু এতে খুশি হবে।’
ইসরায়েলের আবির্ভাবের পর থেকেই আইরিশরা দেশটির শাসকদেরকে অবৈধ দখলদার বলে আসছে। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত দেশটি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি ১৯৯৬ সালের আগে ইসরায়েলে আয়ারল্যান্ডের কোন দূতাবাস ছিলনা। ১৯৮০ সালে প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে আয়ারল্যান্ডই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে। আশির দশক থেকেই দেশটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অধিকার নিয়েও সোচ্চার।
Leave a reply