গত মে মাসে লকডাউনের মধ্যে নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর। ১৭ মে সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে রিলেশনশিপের জায়গায় ‘ডিভোর্সড’ লেখেন অদিতি।
এদিকে দুই মাস পার হতে না হতেই সাবেক স্ত্রী অদিতির সঙ্গে তার বিচ্ছেদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অপূর্ব। মূলত সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো রুখতে এ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এসব অপপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে গত শনিবার দুপুরে উত্তরা পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন অভিনেতা অপূর্ব।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব বিষয় উল্লেখ করে অপূর্ব লেখেন– গত ২২ জুলাই কিছু ভুয়া অনলাইন পত্রিকা অত্যন্ত জঘন্য একটি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। ইতোমধ্যে প্রায় সবাই জেনে গেছেন সে ব্যাপারে আমি ওই সব অনলাইন পত্রিকা এবং ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘোষণা দিই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় উপস্থিত হয়ে এ নিউজের বিপরীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
তিনি আরও লেখেন, আমি আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তি। অতএব অনলাইনে মিথ্যা, অপ্রাসঙ্গিক ও অনভিপ্রেত সংবাদ প্রকাশের জন্য আমি সাইবার আইনের মাধ্যমেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। সিটিটিসি-সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরামর্শক্রমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় উত্তরা পূর্ব থানায় আমি অভিযোগ দায়ের করলাম।
অভিনেতা আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি ন্যায়বিচার পাব। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্যও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত বেশ কিছু নিউজ পোর্টালে অপূর্বর সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতিকে নিয়ে ‘এক দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির অবৈধ সম্পর্কের জেরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষুব্ধ হন অপূর্ব।
Leave a reply