মুকেশ ছাবড়া’ই তাকে প্রথম হিন্দি সিনেমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। ‘কাই পো চে’ ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। তাকেই বলিউডে পরিচালক হওয়ার প্রথম ধাপ পাস করিয়ে দেন সুশান্ত সিং রাজপুত। পরিচালক মুকেশের প্রথম ছবি হলো সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি।
গেল শুক্রবার সুশান্ত অভিনীত শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’ মুক্তি পায়। সুশান্তের সহকর্মী, প্রিয় মানুষ, বন্ধু, পরিবার এবং সর্বোপরি ফ্যানরা এদিন সকাল থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিলেন ‘দিল বেচারা’- দেখার জন্য। সুশান্ত সিং রাজপুতের অভিনয় ও তাকে শেষবার স্ক্রিনে দেখার এক বিষাদময় আনন্দ ছিল এখানে। তবে এই ছবি দর্শকের মনে যেভাবে থেকে গেল, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসেও গড়ে তুললো রেকর্ড।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পায় সুশান্ত ও সঞ্জনা সাংঘির ছবি ‘দিল বেচারা’। আইএমডিবি এই ছবির রেটিং দিয়েছে দশে ৯.৯। ছবির গল্পটা খুব সহজ।
ট্রেইলারের শুরুতেই যেমনটা বলা হয় আর কী। ‘এক ছিল রাজা, এক ছিল রানী’। ‘দুই মরে গেল’, ‘শেষ কাহিনী’। ছবিটাও ঠিক ততটাই। কিন্তু তারই মাঝে জীবনকে উপভোগ করার পাঠ রয়েছে গল্পে। আর অদ্ভুত বিষয় হলো- যে মানুষটা এই জীবনের পাঠ দিতে দিতে গেলেন গোটা ছবিজুড়ে, তিনি আচমকাই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন মাত্র ৩৪ বছর বয়সে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে। সুশান্ত সিং রাজপুত, ছবিতে যার নাম ম্যানি। সেই কিজি অর্থাৎ সঞ্জনা সাংঘিকে শেখায় কীভাবে বাঁচতে হয়।
এদিকে গল্পে রয়েছে, নায়িকার থাইরয়েড ক্যানসার। তাকে সর্বক্ষণ অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে বেড়াতে হয়। রেগি মিলারের জার্সিতে তার স্বপ্নের রাজকুমারের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় তার। আর অক্সিজেন পাইপের মাধ্যমেই ঘটে জীবনের প্রথম চুমু। কিন্তু অত্যন্ত চাপে থাকা কিজি ও তার মা অভিনয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কিছুতেই যেন বুঝতে পারেন না জীবনকে নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাবেন। আর সেখানেই সূর্যের রশ্মি হয়ে আলোকপাত ম্যানির। ছবিতে স্বস্তিকার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
Leave a reply