পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌর শহরের ফেরিঘাট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ভুক্তভোগীর পূর্ব পরিচিত শহিদুল, বশির গাজী, স্বপন, জীতেন ও খোকন ডাক্তার।
এছাড়া পলাতক রয়েছে হোটেল ম্যানেজার মো. ফারুক। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গলাচিপা থানার ওসি তদন্ত হুমায়ুন কবির জানান, গজালিয়া এলাকার ১৯ বছরের ওই তরুণী গতকাল বুধবার গলাচিপা উপজেলা সদরে ডাক্তার দেখাতে আসেন। ডাক্তার দেখানো শেষে বোন আসলে তার সাথে তাদের সোনাখালী গ্রামের বাড়ি যাবার কথা ছিলো। কিন্তু বোন না আসায় তরুণী নিজে একাই বোনের বাড়ি যাওয়ার জন্য ফেরিঘাট এলাকায় আসে।
এ সময় এলাকার পূর্বপরিচিত মো. শহিদুল সন্ধ্যার সময় বোনের বাড়ি না গিয়ে হোটেলে থাকার পরামর্শ দেন এবং হোটেল সৈকতে রুম ঠিক করে দেন। রাত আটটার দিকে শহিদুল হোটেল ম্যানেজার ফারুককে নিয়ে তরুণীর রুমে আসে। এরপর পর্যায়ক্রমে অভিযুক্তরা ধর্ষণ করে।
রাতে এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। হোটেল ম্যানেজার ফারুক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে।
ইউএইস/
Leave a reply