ভৈরবে কোরবানির মাংস বণ্টন নিয়ে ঝগড়া, যুবক নিহত

|

কিশোরগঞ্জ জেলা-যুগান্তর

ভৈরব প্রতিনিধি:

ভৈরবে কোরবানির মাংস বণ্টন নিয়ে ঝগড়ায় শাহ আলম নামের এক যুবক নিহত হয়। সে কুলিয়ারচর পিডিবির কর্মচারী। গতকাল শনিবার রাতে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়। নিহত শাহ আলম এলাকার পীর গোলাপ চিশতীর নাতি।

গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় কান্দিপাড়া এলাকার মসজিদের নিকটে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আজ রোববার দুপুরে ১৫ জনকে আসামী করে নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। নিহতের লাশ আজই ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় আজ রোববার সকালে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে প্রতিপক্ষের কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার কান্দিপাড়া এলাকায় মসজিদের কাছে একটি গরু কোরবানি দেয়া হয়। কোরবানি শেষে মাংস ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্য তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এসময় শাহ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে ঝগড়া থামাতে অনুরোধ করেন। একথা বলার পর প্রতিবেশী ছাত্তার মিয়া উত্তেজিত হয়ে দলবল নিয়ে তাকে মারতে থাকে। এসময় লাথি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা গুরুতর দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করে। তারপর রাত ৮ টার দিকে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়।

নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, আমার স্বামী কুলিয়ারচরে বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করে। গতকাল এলাকায় দুই পক্ষের মাংস বণ্টন নিয়ে ঝগড়া থামাতে গেলে প্রতিপক্ষ ছাত্তার মিয়া তার দলবলসহ উত্তেজিত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এসময় মাথায় লাঠির আঘাতে সে প্রথমে আহত হয় এবং পরে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিন জানান, ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ছাত্তারকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় আজ দুপুরে একটি মামলা দিয়েছে। এলাকায় বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাটের ঘটনাটি পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। মামলার ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply