পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সংযোগ ক্যাবল কেটে সঞ্চালন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আটজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মামলাতে স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট ১৯৭৪ এর (১) ও (৩) ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় কুয়াকাটা পৌর মেয়রের ভাই আবুল হোসেন মোল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি কুয়াকাটা পৌর মেয়রের ভাই আবুল হোসেন মোল্লা ও আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, কুয়াকাটার আলীপুর এলাকার মাটিভাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন থেকে কিছু দূরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি থেকে ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটছিল আবুল হোসেন মোল্লাসহ আসামিরা। এ সময় রোববার বেলা ১১টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের পাশে ভূগর্ভস্থ সাবমেরিনের কেবল লাইনের ১০মিটার স্কেবেটার দিয়ে কেটে ফেলে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সারাদেশের সাথে ইন্টারনেট যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। প্রায় ১২ ঘণ্টা এ অবস্থা চলতে থাকার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেবল লাইন মেরামত সম্পন্ন করে ইন্টারনেট স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে।
মামলায়ে আরও উল্লেখ করা হয় যে, মাটি ও বালু কাটার সময় মামলার বাদীসহ স্থানীয়রা বার বার বাধা ও নিষেধ করলেও আসামিরা কর্ণপাত করেননি।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, কেবল লাইন কাটায় রাষ্ট্রের প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রায় ৭/৮ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি জানান, যেহেতু রাষ্ট্রীয় কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছে এবং অনেক ক্ষতি হয়েছে সেহেতু আমরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে দেখছি।
ইউএইস/
Leave a reply