ব্যাংকের সিন্দুক ভেঙে চুরি করতে এসেছিল এক চোর। কিন্তু টাকা লুঠ তো হলই না, বরং নিজের প্রাণটাই খোয়াতে হলো তাকে। এমন আশ্চর্য এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের ভাদোদরায়। খবর এই সময়ের।
খবরে বলা হয়, সিন্দুকের দরজা কাটতে যে অস্ত্র সে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল, সেই অস্ত্রেই দুর্ঘটনাবশত তার গলা কেটে যায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, ‘উজ্জীবন’ স্মল ফিনান্স ব্যাংক। এর সদর দফতর বেঙ্গালুরুতে। এই ব্যাংকেরই ভাদোদরার হার্নি রোড এলাকার শাখায় শনিবার মাঝরাতে লুঠ করতে আসে এই অজ্ঞাত পরিচয়ের চোর।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত পৌনে একটা থেকে একটার মধ্যে একটি ইলেকট্রিক কাটারের সাহায্যে ব্যাংকের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে ওই চোর। এরপর সে ওই মেশিন দিয়ে সেফটি ভল্টেরও দরজা কাটে। কিন্তু টাকাকড়ি লুঠ করার আগেই দুর্ঘটনাবশত সেই ইলেকট্রিক কাটারের স্যুইচ অন হয়ে গেলে ওই কাটারে চোরের গলা কেটে দেয়।
ওয়ারাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর এসএস আনন্দ জানিয়েছেন, ‘সেফটি ভল্টের বাইরের জায়গাটি এতটাই ছোট যে সেখানে একজন মানুষই ঠিকমতো দাঁড়াতে পারে না। অন্ধকার থাকায় চোর ওই সংকীর্ণ জায়গায় নিজের গতিবিধিই ঠিক করতে পারেনি। সে কাটার অন করার তারটি ভুল করে টেনে ফেলে ও সেটি তার গলা কেটে দেয়।’
এদিকে, ব্যাংকের নজরদারি দল সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ব্যাংকের ভেতরে চোরের গতিবিধি বুঝতে পেরে ওই ব্যাংককের ম্যানেজার প্রশান্ত শর্মাকে সতর্ক করে। ম্যানেজার তড়িঘড়ি ব্যাংকে যখন ঢোকেন, তখন দেখেন ভেতরে রক্তের বন্যা ভেসে যাচ্ছে। মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেই চোর। এরপর ওয়ারাসিয়া পুলিশকে খবর দেন তিনি। একটি কর্তব্যরত পেট্রোলিং ভ্যান সেখানে এসে চোরটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পুলিশ কর্মকর্তারা প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছেন, ওই চোর একাই গিয়েছিল চুরি করতে। তার সঙ্গে আর কেউ ছিল বলে মনে হচ্ছে না।
ইউএইস/
Leave a reply