আটকের দশদিন পর মুক্তি পেলেন পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। মেজর (অব.) সিনহা নিহতের পর পুলিশের করা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় সিফাতকে। অথচ তাকে নির্দোষ ছেলে হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তবে সেটি আমলে নেয়নি কক্সবাজার পুলিশ। বরগুনা এসবি পুলিশ থেকে পাঠানো সেই নথি এসেছে যমুনা নিউজের হাতে।
জানা গেছে, সিফাতকে আটকের পরদিনই বরগুনার বামনার গ্রামের বাড়িতে যায় স্থানীয় পুলিশ। খোঁজখবর নিয়ে, ২ আগস্ট বরগুনা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পাঠানো চিঠিতে জানানো হয় মাসখানেক আগে সিফাতের গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এলাকার লোকজনের নিকট গোপন ও প্রকাশ্য জিজ্ঞাসাবাদে বামনা থানা এলাকায় সাহেদুল ইসলাম সিফাত অবস্থানকালীন তার স্বভাব চরিত্র ভালো ছিল বলে জানা যায়। বামনা থানা ও বরগুনা জেলা বিশেষ শাখার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে কোনোরূপ তথ্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, পরিবারের অনুমতি নিয়েই কক্সবাজারে তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজে সিফাতকে নিয়ে যান সিনহা। সাহেদুল সিফাত ও রোববার মুক্তি পাওয়া সিনহার আরেক সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ এখন পরিবার’সহ তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে আছেন। মানসিক অবস্থার একটু উন্নতি হবার পর আদালতে তাদের জবানবন্দি নেয়া হবে।
Leave a reply