নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর হাত পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করে ঘরের বারান্দায় কবর খুঁড়ে হত্যা চেষ্টার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে।
বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানতে পেরে ঘরের জানালা ভেঙ্গে গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে আদমদীঘির নামাপাইকপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাইম নওগাঁর এনায়েতপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফাল্গুনিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে ফাল্গুনিকে কারণে অকারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। তাদের ঘরে দুই বছর বয়সের একটি সন্তান রয়েছে। ফাল্গুনি বর্তমানে পুনরায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বুধবার বিকেলে ফাল্গুনি তাদের বাড়ির পাশেই তার চাচি শাশুড়িদের বাড়িতে যায়। কেনো ওই বাড়িতে গেলো, এ নিয়ে স্বামী ও শাশুড়ি সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্বামী নাইম ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ফাল্গুনিকে ঘরে আটক করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে। এরপর হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশে ঘরের বারান্দায় মাটি কেটে কবর তৈরি করে।
ঘটনা জানতে পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ফাল্গুনিকে উদ্ধার ও নাইকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ফাল্গুনির বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ে ফাল্গুনিকে নির্যাতন করতো জামাই। এ ব্যাপারে কয়েক দফায় গ্রাম্যসালিশও হয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএইচএম এরশাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফাল্গুনিকে জীবন্ত কবর দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে নাইম। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কবর ও অন্যান্য আলামত পেয়েছে। সেখান থেকে পালিয়ে যাবার সময় ফাল্গুনির স্বামী নাইম ও শাশুড়ি রেহানা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন।
ইউএইস/
Leave a reply