প্রসব বেদনায় কাতর হয়ে রাস্তার পাশেই পুত্রসন্তান জন্ম দিলেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। এক দোকানি হাতে একটি ব্লেড তুলে দিলে নিজেই সন্তানের নাড়ি কাটেন। এরপর নবজাতককে কোলে নিয়ে ওই মানসিক প্রতিবন্ধী নারী হাসলেন মাতৃত্ব লাভের স্বর্গীয় হাসি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বলিয়াদী ইউনিয়নের নোয়াটা গ্রামের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাজিতপুরের নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ্তিময়ী জামান, ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম ও সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সেখান থেকে নবজাতক ও প্রসূতি মাকে উদ্ধার করে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা ও সুস্থ পরিচর্যা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন তারা। সেখানে নিবিড় পরিচর্যায় রেখে ওই নারীর নাম-পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মাঝে-মধ্যে তার নাম মদিনা, স্বামীর নাম মামুন এবং বাড়ি কালিয়া ও খালিয়া বলে জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তার প্রকৃত পরিচয় উদ্ধারে দেশের সব জেলা ও থানায় বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজিতপুর থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম।
বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, প্রসূতি মা ও নবজাতককে তারা সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় রেখেছেন। তারা সুস্থ আছেন।
বাজিতপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দীপ্তিময়ী জামান জানান, আরও দুই-একদিন অপেক্ষা করে তার আসল পরিচয় ও স্বজনদের খোঁজ পাওয়া না গেলে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস ও জেলা সমাজসেবা অধিদফতর কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এমন ক্ষেত্রে আদালত সাধারণত সমাজসেবা অফিসের তত্ত্বাবধানে মহিলা ও শিশু-কিশোরী নিরাপদ হেফাজত আবাসন ‘সেফ হোমে’ পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে থাকেন। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার কোপাখোলায় এমন ‘সেফ হোম’ রয়েছে।
ইউএইস/
Leave a reply