বলিউডের ভাইজানকে খুনের চেষ্টা করে যাচ্ছিল কুখ্যাত গ্যাংয়ের এক শার্প শুটার। সম্প্রতি এক রেশন ডিলারের খুনের তদন্তে পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় সালমান খানকে হত্যার সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেলো সেই শার্প শুটারের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, গত ১৫ আগস্ট রাহুল ওরফে সাঙ্গা ওরফে বাবা ওরফে সুন্নি নামে এক শার্প শুটারকে গ্রেফতার করে ফরিদাবাদ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তার সঙ্গে আরও চার ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে। রাহুলের কাছ থেকে গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সালমানকে খুনের পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে রাহুল।
রাহুল জানায়, সালমান খানকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল তাদের। নিয়মিত ভাইজানের বান্দ্রার বাড়িতে তাদের নজরদারি ছিল। কখন তিনি বাড়ির বাইরে যান, কোথায় কোথায় যেতেন- সবই নজরে রাখা হতো। কিন্তু লকডাউনের পুরো সময়টা প্যানভেলের ফার্ম হাউজে কাটিয়েছেন সালমান খান। যে কারণে সালমানকে নাগালে পায়নি রাহুল।
সালমানকে কেনো খুন করতে চেয়েছিল রাহুল সেই রহস্যও জানতে পেরেছে ফরিদাবাদ পুলিশ। এ বিষয়ে ডিসিপি হেডকোয়ার্টার্স রাজেশ দুগ্গাল জানিয়েছেন, রাহুল কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের একজন সদস্য। ২০১৯-এ বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয় সে। আপাতত লরেন্স যোধপুর জেলে রয়েছে। জেলে থেকেই খুনের পরিকল্পনা করে সে। সেজন্য রাহুলকে বেছে নেয় সে। বেশ কিছুদিন আগে লরেন্সের সঙ্গে দেখাও করে রাহুল। এছাড়া ২০১৮ সালে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া সালমানকে হত্যা পরিকল্পনাকারী সম্পত নেহরার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল রাহুলের।
রাজেশ দুগ্গাল আরও জানিয়েছেন, লরেন্সের সঙ্গে সালমানের শত্রুতা পুরনো। ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ আট হ্যায়’ বলি মুভির শুটিংয়ে রাজস্থানে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করে সালমান খান। এরপর থেকেই সেখানের বিষ্ণোই উপজাতির রোষের মুখে পড়েন সালমান। কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ে হরিণকে পূজা করার রীতি রয়েছে। হরিণ হত্যাকে এ গোষ্ঠীতে মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করা হয়। ঘটনার পর থেকেই প্রকাশ্যে সালমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছেন লরেন্স।
ইউএইস/
Leave a reply