সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরের দিন অর্থাৎ ১৫ জুন মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গে দুই ব্যক্তির সঙ্গে ‘অনধিকার’ প্রবেশ করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। কে বা কারা তাকে মর্গে ঢুকতে দিল? কেন ৪৫ মিনিট সেখানে তিনি ছিলেন? ঠিক কী করছিলেন? সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল এই প্রশ্নে। খবর- আনন্দবাজার পত্রিকা।
সুশান্ত মৃত্যু তদন্তের বাঁকে বাঁকে তৈরি হচ্ছে নতুন রহস্য যার নিশানায় সেই এক বাঙালি মেয়ে রিয়া চক্রবর্তী। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সুশান্ত-মৃত্যু তদন্তের ভার সিবিআই-এর হাতে আসার পরেই ‘টাইমস নাও’ থেকে ভিডিও ফাঁস হল। এই ভিডিও’তে দেখা যাচ্ছে, রিয়া সদা পোশাকে। মাথা থেকে মুখ ঢাকা তার, সঙ্গে একজন পুরুষ আর একজন সাদা পোশাকের মুখ বাঁধা নারী। নেটাগরিকদের এক অংশের বক্তব্য রিয়ার সঙ্গের পুরুষটি হয় স্যামুয়েল মিরান্ডা নয়, তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। আর রিয়ার পাশের মেয়েটি নেটাগরিকদের মতে শ্রুতি মোদী। যদিও নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
কিন্তু কেন রিয়া ১৫ জুন কুপার হাসপাতালের মর্গে গেলেন? নিয়ম অনুসারে পুলিশের উপস্থিতিতেই, মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য একমাত্র মর্গে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে রিয়া কিভাবে অনুমতি পেলেন। মুম্বাই পুলিশের অনুমতি কি তিনি নিয়েছিলেন? মুম্বাই পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি কেন? উল্টে পরিবারের বাইরের লোক হয়ে রিয়া কীভাবে মর্গে প্রবেশ করলেন? শুধু তাই নয়, ৪৫ মিনিট সেখানে উপস্থিত থেকে তিনি সুশান্তের পোস্টমর্টেমের কোনও বিশেষ তথ্যকে কি সরিয়ে দিলেন? এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোটা দেশকে!
এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসছে রিয়া চক্রবর্তী এবং মহেশ ভাটের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। এই চ্যাটে বারবার মহেশ রিয়াকে সুশান্তের কাছ থেকে চলে আসার জন্য রিয়ার সাহস আর তার সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। বলেছেন রিয়ার বাবাও খুশি হবে সুশান্তের সঙ্গ রিয়া ত্যাগ করায়। সুশান্তের যে ডায়েরির পাতায় রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসার কথা লেখা আছে সেই ইন্দ্রজিৎ কেন রিয়া সুশান্তকে ছেড়ে চলে আসায় খুশি হবেন? এই প্রশ্নেরও উত্তর মিলছে না।
Leave a reply