চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তের গ্রাম শিবরামপুর। এরপরই ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে ২১৭ কিলোমিটার পথ পেরোলেই নেপালের বিরাটনগর। এই পথেই উন্মোচিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল রেলওয়ে ট্রানজিটের মাধ্যমে ত্রিদেশীয় বৈদেশিক বাণিজ্যের নতুন দ্বার। একইসাথে এই বাণিজ্যিক দ্বার হিসেবে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন।
এটি ব্যবহার করে নেপালে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হবার কথা শিগগিরই। বর্তমানে চালু রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। তবে রেলওয়ে ইমিগ্রেশন চালুর কথা থাকলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
রহনপুরের দিয়ে বাংলাদেশের সাথে সবচেয়ে নিকটতম দূরত্ব হওয়ায় এই রেলপথ ব্যবহারে আগ্রহী নেপাল। প্রতিবেশি দেশ ভারতও তাদের রেলপথ ব্যবহারে সম্মতি দেয়ায় দীর্ঘ ৪৪ বছর পর আলোর মুখ দেখবে বাংলাদেশ-নেপাল বৈদেশিক বাণিজ্য।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস বলেন, নেপাল এবং ভুটান দু’দেশই আমদানি-রফতানি করতে পারবে। এতে নেপাল যেমন লাভবান হবে, আমরাও তেমন লাভবান হবে। তবে এতে রফতারির পরিমাণ বেশি হবে।
ভারতের সাথে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালিত হলেও যাত্রী পারাপারের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করা গেলে এই রেলপথ দিয়ে দ্রুততম সময়ে ভারত-নেপাল ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন রহনপুরের মানুষ।
এদিকে অবৈধ দখলের কারণে বেহাত হয়েছে রেলের কয়েশ বিঘা জমি। সেসব জমি উদ্ধার করে লাইন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন রেলসংশ্লিষ্টরা।
Leave a reply