স্টাফ রিপোর্টার, যশোর:
বর্তমানে সারাদেশে আলোচিত চিত্র নায়িকা ববিতার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে ফারহানার বিয়ের ছবি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গায়ে হলুদের ছবি ভাইরাল হওয়া এবং
নেটিজেনদের বিরূপ মন্তব্য আমার জীবনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। সুযোগ পেলে আমি হেলিকপ্টার চালানোও শিখতাম।
ফারহানা সাংবাদিকদের বলেছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বোঝাপড়াটা ভালো। ফলে আগামীতেও আমি বাইক রাইডিং অব্যাহত রাখবো। আমার শ্বশুর এই ঘটনায় বিচলিত নয়। বরং তিনি বলেছেন, আমাকে একটা বাইক কিনে দেবে।
তিনি বলেন, গায়ে হলুদের দিনটাকে অন্যরকমভাবে স্মরণীয় রাখতে ১৩ আগস্ট শহরব্যাপী ভাই-বোন, বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করি। ২০টির বেশি মোটরবাইক ছিল। সেই শোভাযাত্রার ছবি ও ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়। অনেকে প্রশংসা করলেও কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্যও করেছেন। এতে আমার কিছু যায় আসে না।
ফারহানা বলেন, সবাই নেচে-গেয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করেছি। আমি যেহেতু বাইক চালাতে পারি, তাই বাইক চালিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা থেকেই এমন আয়োজন। এটি আমার নিজস্ব উদ্যোগে করেছি।
তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে বাইক চালাই। মূলত বাড়িতে সাইকেল ও প্রাইভেটকার চালানো
শেখা হয় ছোটবেলাতেই। বাবার মোটরসাইকেলটিও চালানোর একটা ঝোঁক ছিলো। তাই বাবার অজান্তেই কোনো প্রশিক্ষক ছাড়াই মোটরসাইকেল চালানো শিখি। ২০১৩ সালে ঢাকায় যাওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে বাইক চালিয়ে বিষয়টি ভালোভাবে রপ্ত করি। এরপর নিজে স্কুটি কিনি।
তিনি আরও বলেন, বাইক র্যালির ছবি ফেসবুকে আসার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। তারা আমার বাইক চালানোর বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন। ফলে, তারা ছবি ও ভিডিও দেখে বেশ আনন্দ করেছেন। কিন্তু অনেক নেটিজেন বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারছেন না। তারা আমার চারিত্রিক সনদ দিচ্ছেন। এটা আমি মানতে পারছি না। যে কারণে ছবি ভাইরাল হওয়ার পর আমি নিজেই বাইক র্যালির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করি। সুযোগ পেলে আমি হেলিকপ্টার চালানোও শিখতাম। সবকিছুই চালানো শিখতাম। স্বামীর পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।
উল্লেখ, যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ফারহানা। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
(ডিআইইউ) থেকে এইচআর-এ এমবিএ করছেন তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply