টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. নুরু মিয়া (৫৫) ও মতি মিয়া (৫০) নামে দুইজন
গুরুতর জখম হয়েছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা শহরের সদর তফসিল অফিসের সামনের ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। আহত নুরু মিয়া নাগরপুর উপজেলার দুয়াজানী গ্রামের মৃত কানাই মিয়ার ছেলে ও মতি একই গ্রামের মৃত রহমান আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে ছুরিকাহত নুরু মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা
হয়েছে।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়া ঘিওরকোল গ্রামের মকদুমের ছেলে স্কুল ছাত্র হোসাইনুর রহমান ইমন বলেন, সে তার সিলেবাস আনতে স্কুলে যাওয়ার পথে স্কুল সংলগ্ন ব্রিজে পৌঁছলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা ৬/৭ জনের ছিনতাইকারী চক্রের কমল ওরফে আকাশ আমার বুকে ছুড়ি ঠেকিয়ে আমার কাছ থেকে ১১৫ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আমি চিৎকার দিলে স্থানীয় নুরু ও মতি এগিয়ে এসে ছিনতাই কাজে বাধা প্রদান করে। তখন ছিনতাইকারী কমল নুরুর বুকে ও পিঠে পরপর দুইবার ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার সাথে থাকা মতি এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী চক্রটি। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা যায়, কমল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুল হক কিরণের ছেলে।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম জানান, ছুরিকাঘাতে আহত মতির অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত। কিন্তু নুরু মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরু মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। আমি এর আগে প্রশাসনসহ বিভিন্নস্তরের লোকজনকে অনিরাপদ এ রাস্তাটি সম্পর্কে অবগত করেছি। বাসস্ট্যান্ড থেকে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে তফসিল অফিস পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তায় খালের উপর ব্রিজে প্রতিনিয়ত সব অপরিচিত কিশোর ছেলেদের আড্ডারত অবস্থায় দেখা যায়। তাদের অনেকেই এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী নারীদের অশালীন মন্তব্য করে।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানা পুলিশ জানায়, আমরা বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply