চট্টগ্রামে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও পলাতক মূল হোতা শফি। রাতে বাড়ি ফেরার সময় ধর্ষকরা পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে আটক করেছিল এই দম্পতিকে। বিয়ের প্রমাণও দেখতে চেয়েছিল! এরপর নিয়ে যায় নির্মাণাধীন ভবনে।
ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে শনিবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে স্বামীর সাথে অক্সিজেন থেকে রৌফাবাদের বাসায় ফিরছিলেন তিনি। পথে তাদের আটকে বিয়ের প্রমাণ দেখাতে বলে শফি নামে এক টেম্পো চালক। পরে তার সাথে যোগ দেয় আরও ৪ বখাটে। এক পর্যায়ে ওই স্বামীকে বেঁধে রেখে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে।
পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে। হাতেনাতে আটক করা হয় ৪ জনকে। তারা হলেন—বাদশা মিয়া, মো. জাবেদ, মো. রবিন ও মো. ইব্রাহীম।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে একটি পাঁচতলা ভবনে নিয়ে, তাকে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। হাত বাঁধা অবস্থায় ট্রিপল নাইনে ফোন দেন তিনি। অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জন টেম্পো চালক, ১ জন সিএনজি চালক এবং ২ রিকশা চালক বলে দাবি পুলিশের।
এ ঘটনায় নগরীর বায়েজিদ থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আশিকুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী পোশাকশ্রমিক। তার স্বামী দোকানে কাজ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে আসামিরা। ভুক্তভোগী ওই নারীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক শফিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a reply