করোনার বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে একের এক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। সুদে ভর্তুকি দেয়া প্যাকেজের সবগুলোই ঋণ ভিত্তিক। বিতরণ করা হচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে
শুরুতে প্রণোদনার ঋণ বিতরণে গড়িমসি থাকলেও জুলাইয়ে পর গতি ফিরেছে। বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতে বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বাকি প্যাকেজগুলোতে এখনো তেমন অগ্রগতি নেই। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ দেয়ার পরিমাণ খুবই কম। ঘোষণার ৫ মাসে বিতরণ হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। একই অবস্থা ক্ষুদ্র পেশাজীবী এবং কৃষিঋণ প্যাকেজেরও।
ব্যাংকাররা বলছেন, সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে বিতরণে দেরি হচ্ছে। তবে শাখাগুলোতে আলাদা ডেস্ক খুলে বিতরণ বাড়াতে কাজ করছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলোদেশ ব্যাংকের অস্পষ্টতা আছে, সেটি দূর করা জরুরি। প্রণোদনার অনেক ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা আছে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
বিপিজিএমইএ’র সভাপতি আব্দুল কাদের খান বলেন, ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সহজীকরণ না করা পর্যন্ত এটি সুফল পাবে না।
ব্যাংকাররা বলছেন, শুরুতে কিছুটা গতি কম থাকলেও এখন ঋণ বিতরণের পরিমান বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত সময়ে প্রণোদনা বাস্তবায়নে শাখা পর্যায়ে আলাদা ডেস্ক খোলা হয়েছে বলেও জানান ব্যাংকাররা।
সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোকে রুটিন কাজের বাইরে চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককেও তার অস্পষ্টতা দূর করাতে হবে। স্পষ্টভাবে বলতে হবে এটা করা যাবে এটা করা যাবে না।
নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, অক্টোবরের মধ্যে প্রণোদনার অর্থ বিতরণ কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন প্রণোদনার অর্থ পায় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
Leave a reply