সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে আরিফুল ইসলাম নামে এক কিশোরকে প্রায় ৬ মাস আগে হত্যার পর লাশ গুম করার অভিযোগে বাবা ও সৎ মাকে আটক করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনা উপজেলার চাম্পাফুল গ্রামের ঢালী পাড়া গ্রামে।
পরে আজ শনিবার দুপুরে ওই কিশোরের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইলুজ্জামান খান সাইলু জানান, প্রায় ৬ মাস যাবৎ আরিফুল ইসলাম নিখোঁজ রয়েছে। আরিফুল ইসলামের অবস্থান সম্পর্কে প্রতিবেশীরা তার পিতা ইমান আলী মোড়ল ও তৃতীয় স্ত্রী জোহরা খাতুনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে এলাকাবাসী ঘটনাটি স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের সদস্য কাইয়ুম গাইনকে জানান। ইউপি সদস্য কাইয়ুম গাইন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শুক্রবার বিকেলে ইমান আলী মোড়ল ও সৎ মা জোহরা খাতুনের নিকট আরিফুল ইসলাম কোথায় আছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, গত চৈত্রমাসের ১/২ তারিখ রাতে তাদের ছেলে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে দড়ির সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। পরদিন সকালে ঝুলে থাকা লাশ দেখতে পেয়ে তারা গাছ থেকে লাশ নামিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিকেলে বাড়ির পাশে কবর দেয়।
আত্মহত্যার ঘটনা কাউকে জানানো হয়নি কেন জানতে চাইতে তারা জানান, পুলিশকে জানালে মৃত ছেলের কিডনি খুলে নিয়ে যাবে। সে জন্য কাউকে না জানিয়ে ইমান আলী একাই বাড়ির পাশে কবর খুঁড়ে তাকে দাফন করে। ইমান আলী মোড়ল ও জোহরা খাতুনের রহস্যজনক আচরণ ও বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জনতা আরিফুলকে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য পুতে রাখার অভিযোগে ইমান আলী ও জোহরা খাতুনকে আটক করে থানায় খবর দেয়।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a reply