১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত মুসলিম মহাজির পরিবারের জন্য ঘোড়াঘাটের খোর্দাদপুর কলোনিতে কয়েকশ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। আইনগত নানা জটিলতার কারণে এসব জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া খানিকটা জটিল। আর সেই সুযোগে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা এসব জমি দখল করে। সম্প্রতি এমনই এক জমি কিনেছিলেন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা। আগ্রহ ছিলো ওই এলাকায় এমন আরও জমি কেনার।
উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া স্থানীয়ভাবে আর্মিল্যান্ড হিসেবে পরিচিত এক জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন ফারুক সিদ্দিকী। প্রভাবশালীরা তার জমি দখল করতে চায়। তবে ৫ বিঘার সেই জমি ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখের কাছে বিক্রির পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা আর সুবিধা করতে পারেনি।
এই প্রভাবশালীদের নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি জমি বিক্রেতা কিংবা তার পরিবারের কেউ। তবে তারা নিশ্চিত করেছেন, কয়েক মাস আগে ২০ লাখ টাকায় জমি বিক্রি করে সেই প্রভাবশালীদের উপদ্রব থেকে রক্ষা পান।
কলোনি এলাকার এমন অনেক জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে সদ্য বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, কলোনি এলাকায় আরও জমি কিনতে চেয়েছিলেন ইউএনও’র বাবা। কলোনি এলাকার এই জমি কেনার ঘটনার সঙ্গে হামলার কোনো যোগ আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
যদিও জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যদের দাবি, জমি দখলের মতো ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই।
Leave a reply