টাঙ্গাইলে শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীর জোড়া খুনের মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, নিহত অনিল কুমারের সৎ ভাই স্বপন কুমার দাস ও অন্য আসামিদের পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য কৌশলে হত্যা করা হয় অনিল কুমার ও তার স্ত্রী কল্পনা রাণীকে।
হত্যা পরিকল্পনায় স্বপন কুমার দাসের সহযোগী হিসেবে মাদকসেবী মনিরুজ্জামান, ফরহাদ, মঞ্জুরুল, জাহিদ ও শয়ান মিয়া অংশগ্রহণ করে। তারা অনিল কুমারের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য তিনটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই টাঙ্গাইলের রসুলপুরের বাসায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানীকে হত্যা করে আসামিরা।
হত্যার পর তাদের লাশ বস্তাভর্তি করে বাসার বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে রাখে। এরপর পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহত অনিল কুমারের ছেলে নির্মল কুমার দাস বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপরে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভুক্তভোগী অনিল কুমারের সৎ ভাই স্বপন কুমারসহ ছয় জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ৩৫ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ২৭ জন সাক্ষ্য দেন।
চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত আসামিরা হলো- ১. স্বপন কুমার দাস (৪৩), (আসামি অনিল কুমারের সৎ ভাই) পিতা-মৃত বৈদ্যনাথ দাস, ২. মাে. জাহিদুল ইসলাম (৩২), পিতা-আবদুস সালাম, উভয় সাং-রসুলপুর, ৩. মাে. ফরহাদ (৩৩), পিতা-মৃত হাফিজ উদ্দিন, সাং-শালিনাপাড়া, ৪. মাে. মনিরুজ্জামান ভূইয়া ওরফে খোকন ভুইয়া (৪৮), পিতা-আমির হােসেন ভূইয়া, সাং-রসুলপুর, ৫. মঞ্জুরুল ইসলাম মিতু (৩৩), পিতা-মৃত বাহাজ উদ্দিন, সাং-শালিনাপাড়া, ৬. মাে. শয়ান মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আমানত আলী, সাং-শালিনাপাড়া, সর্বথানা ও জেলা-টাঙ্গাইল।
চার্জশিটে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- ১. রতন কুমার দাস (৫০), পিতা-বৈদ্যনাথ দাস, ২. দুলু মিয়া (৪৯), পিতা-জুরান আলী।
Leave a reply