মধ্যরাতে পলেস্তারা ধস, পুরো হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক

|

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

১শ শয্যা বিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়েছে। শনিবার রাতে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের বসার চেয়ার বরাবর ছাদের একটি অংশের পলেস্তারা আকস্মিকভাবে ধসে পড়ে। বিষয়টি সকাল পৌনে আটটায় জানতে পারেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মুনীর আহমেদ। এরপর পুরো হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মত সকালে হাসপাতালে প্রবেশ করেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। তারা তত্ত্বাবধায়কের রুমে প্রবেশ করলে দেখতে পান পলেস্তারা ধসে তার কক্ষ তছনছ হয়ে রয়েছে। কক্ষে থাকা চেয়ার, টেবিল, ল্যান্ড ফোন, কম্পিউটার সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবেই তারা বিষয়টি তত্ত্বাবধায়কে মুঠোফোনে জানান। তত্ত্বাবধায়ক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছেন।

১৯৮৫ সালে ৩০ শয্যা নিয়ে একতলা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। এই একতলা ভবনের উপরেই ২০০৫ সালে বর্ধিত তিন তলা করা হয়। তিন তলা ভবনটি ২০০৮ সালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এরপর থেকে কার্যক্রম চললেও কিছুদিন পরপরই পুরাতন ভবনের বিভিন্ন অংশের ফাটল ও পলেস্তারা পড়তে দেখা যায়। গেল বছর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনের বারান্দা থেকে একটি বড় অংশ ধসে পড়ায় ওই অংশে দীর্ঘদিন জন সাধারণের যাতায়াত বন্ধ ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ভবনটি নির্মাণ এর মেয়াদকাল ধরা হয়েছে তিন বছর।

হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম মামুন জানান, ঘটনাটি আমাদের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি করেছে। যতক্ষণ হাসপাতলে দায়িত্ব পালন করি পুরো সময়টায় আতঙ্কের মধ্যে কাটে।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মুনীর আহমেদ বলেন, প্রতিদিন আমি গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে থাকি কিন্তু গতকাল রাতে হাসপাতালে আসি নি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছি। এর আগেও হাসপাতালে কয়েকটি অংশে পলেস্তরা খসে পড়ে। পুরো হাসপাতালটি এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নতুন ভবন না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার বাস ভবনের নিচতলায় অফিস কক্ষ স্থানান্তরিত করেছি বলেও জানান তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply