মন্ত্রীর চুল কেটে ৬০ হাজার রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০ হাজার টাকা) পেলেন এক নরসুন্দর। তার নাম রোহিদাস। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের খাণ্ডাওয়া জেলাতে। খবর পিটিআইয়ের।
খবরে বলা হয়, করোনার মহামারিতে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে গেছেন বহু যুবক। ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করার মতো মূলধনও নেই অনেকের কাছে। আর্থিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের খাণ্ডাওয়া জেলার বাসিন্দা রোহিদাস ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। পেশায় নরসুন্দর রোহিদাস নিজের একটি সেলুন খুলতে চেয়েছিলেন। তাই অর্থ সাহায্য চেয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী বিজয় শাহর কাছে আবেদন করেন তিনি। মন্ত্রী তাকে সাহায্য করার আগে তার সামর্থ্যের পরীক্ষা নিয়েছেন। আর সে পরীক্ষায় পাস করার পরই রোহিদাসকে ৬০ হাজার রুপি দেন বনমন্ত্রী।
করোনা মহামারির সময় অনেকেই আতঙ্কে সেলুনে যাচ্ছেন না। মানুষের আশঙ্কা– সেলুনে গেলে তারা সংক্রমিত হতে পারেন। সে ধারণা ভাঙতেই রোহিদাসকে একটি অনুষ্ঠানে ডাকেন বিজয় শাহ। ওই অনুষ্ঠানেই বনমন্ত্রী নরসুন্দর রোহিদাসকে দিয়ে চুল ও দাড়ি কাটান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং মুখে মাস্ক পরে রোহিদাস মন্ত্রীর নির্দেশমতো কাজ করেন। তার কাজে খুশি হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৬০ হাজার রুপি বের করে দেন মন্ত্রী বিজয় শাহ।
মন্ত্রী জানান, কয়েক মাস ধরে করোনা পরিস্থিতির জন্য অনেকে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতেই তিনি সবার সামনে রোহিদাসকে দিয়ে চুল ও দাড়ি কাটান। সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করলে কোনো ক্ষতি হবে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
ইউএইচ/
Leave a reply