করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে এ মহামারির উৎপত্তিস্থল চীনকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের ওয়েবসাইটে সোমবার পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ রোগে চীনে এ পর্যন্ত মারা গেছেন চার হাজার ৭৩৪ জন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৭৫৯ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৮১২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩২ জনে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ১৯৭ জন।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে যে করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৪৭টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৪ হাজার ২১৬টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৬টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২.৭৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯.৪৭ শতাংশ।
নতুন যে ২৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ এবং নারী চারজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৭০৮ জন বা ৭৭.৯২ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৫১ জন বা ২২.০৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪০ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫১২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৫৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭১.৬৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
Leave a reply